সুনামগঞ্জ , বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫ , ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
হাসপাতাল চালুর দাবিতে মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের অনির্দিষ্টকালের ক্লাস বর্জন বর্ণিল আয়োজনে বর্ষবরণ হাওরে চড়ক উৎসবে মানুষের ঢল ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা, দ্রুত পাকা ধান কাটার আহ্বান বন্যার ঝুঁকিতে হাওরাঞ্চল তিন দপ্তরের ছুটি বাতিল গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় নিহত বেড়ে ৫১ হাজার, নিখোঁজ ১১০০০ ধর্মপাশায় দুই আসামি গ্রেফতার বিএনপি’র ঈদ পুনর্মিলনী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে নববর্ষ উৎসব ডাকসু নির্বাচনের কমিশন গঠন মে মাসে এই সরকারকে ৫ বছর চাওয়ার কথা আমার নয়, জনগণের : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাগর-রুনি হত্যা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় পেছালো ১১৮ বার সুনামগঞ্জ শহরের শৃঙ্খলার জন্য অগ্নি স্নানে শুচি হোক ধরা নববর্ষের প্রত্যাশা, বিজন সেন রায় বোরো ধান কাটার ধুম, হাওরে বৈশাখী হাসি আমাদের পহেলা বৈশাখ ছাতকসহ দেশের ১০ অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিকল্পনা বাতিল ফিলিস্তিনে ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে জাতীয় পার্টির বিক্ষোভ

ধর্মপাশায় বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল কিশোরী

  • আপলোড সময় : ২৪-০১-২০২৫ ১০:০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৪-০১-২০২৫ ১০:০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন
ধর্মপাশায় বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল কিশোরী
ধর্মপাশা প্রতিনিধি :: ধর্মপাশা উপজেলা সদরে এক কিশোরী (১৫) বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতায় বুধবার রাতে এই বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরী। ওই কিশোরীর সঙ্গে শেরপুর সদর উপজেলার এক যুবকের (২৩) গোপনে বিয়ের আয়োজন করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় কিশোরীর বাড়িতে গাঁয়েহলুদ অনুষ্ঠান হয়। বৃহ¯পতিবার দুপুরে গোপনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা স¤পন্ন হওয়ার কথা ছিল। বুধবার রাত ১০টার দিকে খবর পেয়ে ধর্মপাশার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অলিদুজ্জামান খোঁজ নিয়ে বাল্যবিবাহ আয়োজনের সত্যতা থাকলে সেটি বন্ধ করার পাশাপাশি কিশোরীর অভিভাবকের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়ার জন্য ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ এনামুল হকের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন। ওইদিন রাত ১১টার দিকে থানার এএসআই মাসুদ রানা দুজন কনস্টেবল নিয়ে ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে বিবাহের আয়োজনের সত্যতা পান তাঁরা। পরে তাঁরা ওই কিশোরীর বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনদেরকে ডেকে এনে বাল্যবিয়ের কুফল এবং রাষ্ট্রীয় আইনে বাল্যবিবাহের স্বীকৃতি নেই এমনটি বুঝিয়ে বলার পর কিশোরীর বাবা-মা ও তার স্বজনেরা বাল্যবিবাহটি বন্ধ করতে সম্মত হন। এমনকি ১৮ বছরের আগে নিজ মেয়েকে বিবাহ দেবেন না বলে কিশোরীর বাবা লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেন। কিশোরীর বাবা বলেন, আমার মেয়ের গাঁয়ে হলুদে অনুষ্ঠান হয়েছে তা ঠিক। তবে এখনই মেয়েকে বিয়ে দেব না। শুধুমাত্র মেয়েকে ছেলে পক্ষের লোকজন এসে আংটি পরানোর কথা ছিল। মেয়ের বয়স ১৮বছর না পর্যন্ত বিয়ে দেব না। ভারপ্রাপ্ত ইউএনও অলিদুজ্জামান বলেন, বাল্যবিবাহ একটি অপরাধ। বাল্যবিবাহ রোধে উপজেলা প্রশাসন সব সময় তৎপর রয়েছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স